❑ সাম্য রাইয়ান
আজ, এই তারিখটা আমার কাছে ক্যালেন্ডারের নিছক একটা দিন নয়। এটা সেই দিন, যেদিন আমি জানলাম—কেউ না কেউ, কোথাও না কোথাও, দূর-দূরান্তে বাস করেও আমার লেখাজোখা পাঠ করে চিন্তার খোরাক পেয়েছে।
হয়তো ভালোবেসেছে।
হয়তো বিরক্ত হয়েছে।
কিন্তু অগ্রাহ্য করেনি।
দুবছর আগের এই দিনে, বিস্ফোরণের মতো প্রকাশিত হয়েছিল সাহিত্যের আলোকপত্র ‘তারারা, সাম্য রাইয়ান বিশেষ সংখ্যা’—যেখানে আমার লেখা, আমার ভাবনা, আমার শব্দচিন্তা নিয়ে হ্রস্ব ও দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছিলেন বিভিন্ন দেশের বাঙলাভাষী লেখকরা।
বাঙলাদেশ, ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা—যেখানে বাঙলা বেঁচে আছে, সেখান থেকে কেউ কেউ আমাকে পাঠ করেছেন, প্রশ্ন করেছেন, সমালোচনা করেছেন, কখনো মমতায় স্পর্শ করেছেন।
সেদিন আমি তীব্রভাবে অনুভব করেছিলাম, লেখালেখি একাকিত্বের প্রকল্প হলেও, তার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে যেতে পারে কত দূর-দূরান্তে!
আমার কণ্ঠস্বর হয়তো ক্ষীণ, কিন্তু কিছু মানুষ সেই কণ্ঠস্বর শোনার মতো ধৈর্য ও ভালোবাসা ধরে রেখেছেন।
এই অনুভব আমার লেখার জগতে নতুন এক মাত্রা এনে দিয়েছিল৷ ফলত পত্রিকাটি আমার কাছে একটি সংখ্যামাত্র নয়— একধরনের আত্মপরীক্ষা, এক ধরনের আত্ম-দায়বদ্ধতা।
সেই সংখ্যায় লেখা প্রতিটি পংক্তি আমাকে নিজস্ব প্রতিবিম্বের দিকে তাকাতে বাধ্য করেছিল।
কেউ কাব্যিক কাঠামোর প্রশংসা করেছিলেন, কেউ অন্তরালের ক্ষত খুঁজে বের করেছিলেন।
তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা প্রত্যেকেই আমার লেখার গভীরে নেমে যে চিন্তার আলোটি ফিরিয়ে দিয়েছেন, তা আমি আজও বহন করছি।
তাই, ৬ই আগস্ট আমার কাছে শুধু তারিখ নয়, একটা আয়না। যেখানে আমি মুখোমুখি হই, নিজস্ব সাহিত্যের।
৬ আগস্ট ২০২৫