হাটবার

❑ সাম্য রাইয়ান 

বিকেলের মগ্ন নির্জনতা পেরিয়ে
অবিচ্ছিন্ন শেকড়তম উচ্ছ্বাসে, মোহে—
প্রতিফলিত হই চিত্রনদীর তীরে৷
সেইখানে মস্তিষ্কের মতো বিক্ষিপ্ত
কলহআয়োজন পরিণত হয় তুমুল তরলে৷

বিগত সমুদ্র যেমন সাক্ষ্য দেয় অন্তঃসার সমারোহ—
চিন্তাতোড়ন কৌশলে 
চলে ঘুমহীন পথে রিক্সা,
কেবল জেগে থাকে খনিজ
                              ব্রাত্য প্রক্রিয়ায়৷

উন্মুক্ত— শোভমান, মহাবিস্তৃত
মানুষের শিল্পকলায়
যাত্রাপুরীর প্রাচীর করে সৌধনির্মাণ!
সুসজ্জিত পশুপাখি, খাবারের সমারোহ
বিরাট বিপনী এই— টাকার মণ্ডপ৷

ঘুরে ঘুরে দেখা হলে, ধীরে, মহাদৈত্যরা
চলে যায় তীক্ষ্ণতীর ঘেঁষে৷ তথাপি জেগে থাকে
শুল্ক আদায়ের চোখ, পরখ করে দলবদ্ধ কণা৷

নানারকম ধারণার পাহাড়ে—
না, প্রকৃত টিলায় দাঁড়িয়ে আমরা
দেখি মানুষের বিবরণ৷ মহাপ্লাবনের 
যাত্রীসকল, তুমুল ধুলায়, বিষণ্ন
রঙের ভেতর ম্লান হয়ে যায়৷
হাতে ও মাথায় খাদ্যসম্ভার, আর কিছু গার্হস্থ্য
প্রেমভালোবাসা; যেন কয়েকশত বৎসরের এ যাত্রা৷

ভৌগোলিক সৌন্দর্য কুয়াশায় বিচিত্ররূপ নিলে
প্রাচীরচিত্র থেকে মাত্রাযুক্ত যাত্রাপুর
মগ্ন হতে থাকে আত্মরতিতে, ক্রমে ক্রমে শব্দহীন!

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *