বাঘ

❑ সাম্য রাইয়ান

আমার মেয়েটি কিছুদিন থেকে বাঘের মাংস খেতে চায়। ‘বাঘ-বাঘ’ করে স্বপ্নে চিৎকার করে আমায় জড়িয়ে ধরে বলে, ‘বাঘ—আমি বাঘের মাংস খাবো।’

বাঘ খুঁজতে বাজারে গিয়েছিলাম। পেলাম না। মেয়ে বললো, ‘বাবা চলে জঙ্গলে যাই; জঙ্গলে অনেক বাঘ আছে।’

বউকে সাথে নিয়ে জঙ্গলে হাজির হলাম বাঘ খুঁজতে। অপেক্ষায় থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে হঠাৎ দূরে বাঘের গর্জন শুনতে পেলাম। সতর্ক আমি, ধীরে—ট্রিগার চেপে দিলাম। গুলি বেরিয়ে লাগলো বাঘের পেটে। শব্দ হলো অনেক।

কোত্থেকে যেন অতর্কিত চিৎকার এলো, ‘ফায়ার’৷

একটা গুলি আমার কানের পাশ দিয়ে গেল। আমিও গুলি ছুঁড়লাম। গোলাগুলি হলো বেশ। দেখি—বউটা আমার পড়ে আছে, পাশে মেয়েটাও। চিৎকার করে ডাকলাম, ‘বউ ওঠো, ওঠো বাঘের বাচ্চা!’

কেউ উঠলো না। কারও ঘুম ভাঙলো না! শুধু পুলিশ এলো।

আমাকে আদালতে তোলা হলো। বাঘ মেরেছি বলে ১২ বছরের কারাদণ্ড হলো আমার। শাস্তির ভারে নূয়ে পড়ে বললাম, ‘আমার স্ত্রী-কন্যা তাদের হত্যার শাস্তি কেউ পাবে না?’
আদালত বললেন, ‘অবশ্যই আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে।’

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *